Santipur College

Pandit Lakshmi Kanta Moitra – Founder of Santipur College

A Visionary Statesman and Scholar

A Visionary Statesman and Scholar

Pandit Lakshmi Kanta Moitra (1895–1953) was an eminent Indian educationist, scholar, lawyer, freedom fighter, and a respected member of India’s Constituent Assembly. Revered for his profound knowledge of Sanskrit and his principled stand on secularism, Pandit Moitra played a crucial role in shaping post-Independence India—both nationally and regionally.

Early Life and Education

Born on 23rd July 1895 in Narayanganj, then part of British India (now in Bangladesh), hailed from a distinguished Bengali Kayastha family steeped in culture and learning, Lakshmi Kanta Moitra showed early brilliance in academics. He began his education at Narayanganj High School and pursued higher studies at Dacca Government College. Later, he completed his Bachelor of Arts from Presidency College, Calcutta. He then pursued law to obtain a Bachelor of Laws (LL.B.) from the University of Calcutta. Alongside law, he became well-known for his deep command and knowledge of Sanskrit that earned him the respectful title of "Pandit".

Founder of Santipur College (1948)

In 1948, just after India gained independence, Pandit Moitra founded Santipur College with the vision of promoting higher education among the youth of this culturally rich yet underdeveloped region. His belief was clear:

“An educational institution is not just a place for instruction, but a space for building character and shaping society.”

His initiative provided the students of Santipur and surrounding areas with access to quality education at a time when such opportunities were rare.

Member of the Indian Constituent Assembly

Pandit Moitra was elected as a Member of the Constituent Assembly of India in 1946. In the debates of the Assembly, he firmly advocated for secularism, freedom of religion, and linguistic inclusivity.

One of his memorable assertions was:

“Sanskrit is not the heritage of any single community; it is India’s common legacy.”

His clarity of thought, powerful oratory, and commitment to national integration left a significant mark on the drafting of the Indian Constitution.

Administrative & Political Contributions

In addition to his legal and constitutional work, Pandit Moitra was involved in several key committees, including:

1. The Special Police Establishment Enquiry Committee (a precursor to today’s CBI),
2. The Food Grains Policy Committee,
3. The Crop Review Committee, among others.

In Independent India’s first general election (1951–52), he was elected to the Lok Sabha from the Nabadwip constituency as a member of the Indian National Congress.

Legacy and Remembrance

Pandit Lakshmi Kanta Moitra passed away on 25th July 1953, just two days after his 58th birthday, leaving behind a legacy of public service, constitutionalism, and cultural vision. His life remains a beacon for all who believe in the transformative power of education, the dignity of democratic participation, and the strength of India’s pluralistic traditions.

Though his life was brief, his contributions continue to resonate—especially through the institution he founded: Santipur College.

Today, Santipur College stands not only as a center of learning but also as a living testament to Pandit Moitra’s vision, values, and commitment to education, culture, and democracy.

"Language, reason, and ethics — these are the pillars of a great nation." — Pandit Lakshmi Kanta Moitra

পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র – শান্তিপুর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এক দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়ক ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ ব্যক্তিত্ব

পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র (১৮৯৫-১৯৫৩) ছিলেন একজন খ্যাতনামা ভারতীয় শিক্ষাবিদ, সংস্কৃতজ্ঞ, আইনজ্ঞ, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ভারতের গণপরিষদের এক প্রভাবশালী সদস্য। সংস্কৃত ভাষায় অসাধারণ পাণ্ডিত্য ও ধর্মনিরপেক্ষতার দৃঢ় অবস্থানের জন্য তিনি সর্বমহলে শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। স্বাধীনতা-উত্তর ভারতের গঠন ও সমাজচিন্তায় তাঁর অবদান ছিল অপরিসীম – জাতীয় ও আঞ্চলিক উভয় স্তরেই।

প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা

১৮৯৫ সালের ২৩শে জুলাই তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্গত) নারায়ণগঞ্জে এক সুপ্রতিষ্ঠিত বাঙালি কায়স্থ পরিবারে তাঁর জন্ম। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী লক্ষ্মীকান্ত পড়াশোনায় উজ্জ্বল ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন এবং তারপর ভর্তি হন ঢাকা গভর্নমেন্ট কলেজে। কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে স্নাতক (বি.এ.) এবং পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক (এলএল.বি.) ডিগ্রি লাভ করেন।

আইন পড়ার পাশাপাশি তিনি সংস্কৃতে অসাধারণ দখল অর্জন করেন, যার ফলে তাঁকে 'পণ্ডিত' উপাধি দেওয়া হয়।

শান্তিপুর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা (১৯৪৮)

ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরপরই ১৯৪৮ সালে তিনি শান্তিপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল- এই সাংস্কৃতিকভাবে ঐতিহ্যবাহী অথচ শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের যুবসমাজকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া।

তিনি বিশ্বাস করতেন:

"একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল পাঠদানের স্থান নয়, বরং এটি চরিত্র গঠনের কেন্দ্র এবং সমাজ গঠনের স্তম্ভ।”

তাঁর এই ঐতিহাসিক উদ্যোগ সেই সময়ে শান্তিপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার শিক্ষার্থীদের কাছে গুণগত শিক্ষার নতুন দিগন্ত খুলে দেয়।

ভারতের গণপরিষদের সদস্য

১৯৪৬ সালে পণ্ডিত মৈত্র ভারতের গণপরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। সংবিধান প্রণয়নের আলোচনায় তিনি ধর্মনিরপেক্ষতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ভাষাগত বহুত্ববাদের পক্ষে সরব ছিলেন।

তাঁর এক স্মরণীয় উক্তি ছিল:

"সংস্কৃত কোনো একক সম্প্রদায়ের সম্পদ নয়- এটি ভারতের সর্বজনীন ঐতিহ্য।"

তাঁর সুস্পষ্ট চিন্তাভাবনা, বলিষ্ঠ বক্তৃতা এবং জাতীয় সংহতির প্রতিশ্রুতি ভারতের সংবিধান রচনায় এক বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করে।

প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক অবদান

তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কমিটিতে নিযুক্ত ছিলেন, যেমনঃ

1. স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট অনুসন্ধান কমিটি (বর্তমানে সিবিআই-এর পূর্বসূরি),
2. খাদ্য শস্য নীতি কমিটি,
3. ফসল পর্যালোচনা কমিটি প্রভৃতি।

স্বাধীন ভারতের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে (১৯৫১-৫২) তিনি নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।

উত্তরাধিকার ও স্মরণ

১৯৫৩ সালের ২৫শে জুলাই নিজের ৫৮তম জন্মদিনের ঠিক দুদিন পরে, পণ্ডিত মৈত্র পরলোক গমন করেন। কিন্তু তিনি রেখে গেছেন এক অমূল্য উত্তরাধিকার- শিক্ষা, সংবিধান ও সাংস্কৃতিক নেতৃত্বের এক গৌরবময় ঐতিহ্য।

তাঁর জীবন ছিল সংক্ষিপ্ত, কিন্তু তাঁর কর্ম অমর।

বিশেষত শান্তিপুর কলেজ, যা আজও তাঁর স্বপ্ন, মূল্যবোধ ও অঙ্গীকারের প্রতিচ্ছবি।

"ভাষা, যুক্তি ও নৈতিকতা- এই তিনটি এক মহৎ জাতির মূল স্তম্ভ।" ---পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র

Listen to: